![]() |
গোয়েন্দা নিজামুল
এক রাত প্রায় ১১:২৫ এর দিকে আমি প্রতিদিনের মতোই আমার টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। বাসায় যেতে অনেকটা দেরি হয়েছিল কারণ সেদিন টিউশনি শেষ করে বের হবার সময়, অন্ধকার পথে চলতে গিয়ে, হোঁচট খেয়ে আঘাত পাই। সেই আঘাতের ফলে আমাকে কিছুক্ষণ সেখানেই ফার্মাসি খুঁজে, মলম-পট্টি করতে হলো। আমি সড়ক পাড় করার সময়, আমার হাঁটাচলার ধারণ দেখে, সড়কের পাশের টঙ্গের সামনে পুলিশ আমাকে কাছে ডাক দিলো। আমিও ভদ্রলোকের মতো তাদের ডাকের সাড়া দিয়ে, তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছিল। কিন্তু আমার কোনো কথার উত্তর না দিয়েই, আমার দেহ অনুসন্ধান করতে লাগল। অনুসন্ধানের ফলে তারা আমার প্যান্টের পকেটের ভেতর একটি ইয়াবার প্যাকেট পেল। আসলে, এটা তারা খুঁজে পায়নি, তারা নিজেই সেই প্যাকেটটা আমার পকেটের ভেতর, সুপরিকল্পিতভাবে রেখেছিল। এই দৃশ্য দেখার পর আমি চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে গেলাম। আমার চেহারার মধ্যে তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছিল। অতঃপর তারা আমাকে হাতকড়া পড়িয়ে, তাদের পুলিশের গাড়িতে উঠতে বললো। আমি সাহস জুটিয়ে, কিছুটা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করায় আমার গালে কষিয়ে এক চড় লাগানো হলো। নিজেকে এই এমন সময়ে, এমন অসহায় অবস্থায় দেখে, আমার মাথা কাজ করছিল না। আমি গাড়ির মধ্যে বসেছিলাম তাদের চা-সিগারেট শেষ হবার অপেক্ষায়। আমি গাড়িতে উঠার ৫-৭ মিনিট পরেই, টঙ্গে বসা দুজন বালক এসে পুলিশদের সঙ্গে, আমার সম্পর্কে তর্কবিতর্ক করতে লাগল;
- জ্বি অফিসার, আপনাদের সঙ্গে একটি বিষয়ে কিছু আলোচনা করার ছিল। আপনাদের কিছু মূল্যবান সময় পেতে পারি?
- কোন বিষয়ের কথা বলছেন? কে আপনারা?
- আমি প্রথমে প্রশ্ন করেছি, আপনে আগে তার জবাব দিন।
- আগে আপনে নিজের পরিচয় দিন।
- আমার পরিচয়; নিজামুদ্দিন আলম ওরফে নিজামুল। আমি একজন অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া ছাত্র। কিন্তু এগুলো তো আমার সাধারণ পরিচয়। আপনি তো মূলত আমার রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ক্ষমতার কথা জানতে চাচ্ছেন। অর্থাত্, আমার সঙ্গে আপনার কথা বলার সুরটা কেমন হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, আমার নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকলেও, অনেক রাজনৈতিক কর্মকর্তা আমাকে চিনে থাকে। কিন্তু সে পরিচয়টা আপাতত গোপন রাখা হোক। আমি এবার আপনাদের কিছু খুবই সরল-সোজা প্রশ্ন করব আর আপনি খুবই সরল-সোজাভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।
- আপনি এতক্ষণ যা কিছু বলেছেন, তার অধিকাংশ তথ্যই অপ্রয়োজনীয় এবং সময় অপচয়ী। তাই আমরা আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিব না।
- শুনুন, অফিসার সাহেব, আমার পরিচয়টা চিরকালের জন্য গোপন রাখার কোনো উদ্দেশ্য নেই আমার, কিন্তু আপনার জানার আগ্রহটা, আপনার মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা অস্থিরতা প্রকাশ করছে। আপনার মনে এখন কতটা সংকোচ হচ্ছে, সেটা আপনার ভাবভঙ্গি দ্বারা প্রকাশ করছেন।
- কেমন ভাবভঙ্গির কথা বলার চেষ্টা করছেন আপনি?
- আমার পরিচয় অনেক রাজনৈতিক কর্মকর্তা জানার ব্যাপারটা বলার কিছু সময় আগ পর্যন্ত আপনার ঘাড় আরাম করে নয়ে, সামান্য হেলান দিয়ে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের কথা ওঠানোর পর থেকেই দেখছি, আপনার ঘাড় আর আরামে হেলান দিয়ে নেই, এখন সেটি একটি সতর্ক সোজা আকৃতি ধারণ করেছে। অর্থাত্, আপনার মনে সংকোচ হচ্ছে, আমি যদি আপনার কোনো বড়সড় ক্ষতি করে বসি। কি, ঠিক বললাম কিনা?
- এসব অযৌক্তিক আলাপ-আলোচনা অন্য কারো সঙ্গে করেন।
- আপনার কাছে অযৌক্তিক লাগতেই পারে। আমার কাছে আপনার একটা বৈশিষ্ট্য খুবই অযৌক্তিক লেগেছে, আর সেটা হলো ঐ নির্দোষ ছেলেটিকে, সুপরিকল্পিত ভাবে আটক করার ব্যাপারটা।
- কাউকেই সুপরিকল্পিত ভাবে আটক করা হয়নি। আপনার কথাটি সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। আমরা তার প্যান্টের পকেট থেকে এই ইয়াবার প্যাকেট পেয়েছি। সে একজন প্রমাণিত অপরাধী, তাই তাকে আটক করা হয়েছে।
- প্রমাণ আমার কাছেও একটি রয়েছে। কিন্তু সেটা প্রদর্শন করার পূর্বে আমি একটা কথা জানতে চাই। সেটা হলো, আপনার পুলিশের ট্রেইনিংয়ের সময় মনে হয় আপনাকে শেখানো হয়নি।
- কিসের কথা বলছেন।
- আপনি কি এতটুকু শেখেননি যে, অপরাধীর কাছে কোনো প্রকারের প্রমাণ পেলে, তাকে পকেটে না রেখে, একটা আলাদা প্যাকেটে রাখতে হয়? এটা তো কখনওই হতে পারে না, যে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনার ট্রেনিংয়ের সময়ে শেখানোই হয়নি। তাহলে আপনিই বলুন, আপনার ট্রেনিং কি আদৌ পুলিশেরই ছিল, নাকি অন্য কোন কিছুর ছিল?
- আমাদের কাছে আজকের মতো আলাদা প্যাকেট শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আমি এটা আমার পকেটের ভেতর সুরক্ষিতভাবে রেখেছি। থানায় গিয়ে, সেখান থেকে প্যাকেট নিয়ে, প্যাকেটে ভরে, রেখে দিব।
- তাই নাকি? কারণ আমি তো জানি, এই ছেলেটা এখানে আসার আগে থেকেই আপনার কাছে এই ইয়াবার প্যাকেটটি রয়েছে।
- কি আবল-তাবল বোকছেন? আমার কাছে এটা আগে থেকেই থাকবে কিভাবে? আমি তো এটা সেই ছেলেটার পকেট ঘেঁটে খুঁজে পেয়েছি।
- আমি যদি বলি, আমার কাছে প্রমাণ আছে, তাহলে কি বলবেন?
- কি ধরনের প্রমাণ?
- প্রমাণ দেখতে চান? দাঁড়ান!
প্রমাণ চাওয়ায়, পকেট থেকে ফোন বের করে, নিজামুল সেই পুলিশ অফিসারকে তাদের কুকীর্তির ভিডিও ফুটেজ দেখায়। সে ফুটেজটি দেখে পুলিশ অফিসারটি দ্রুততার সঙ্গে নিজামুলের হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে, ফোন থাপা দিতে নিল। কিন্তু তখনই নিজামুল সেই পুলিশ অফিসারকে জানালো, যে ফোনটা নিয়ে কোনো লাভ নেই, কারণ ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছিল। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬৬৯৭ টি ভিউ হয়ে গিয়েছিল। যার মধ্যে দর্শক ছিল অনেক উচ্চ পদের সরকারি এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও। নিজামুলের এই কান্ড দেখে পুলিশ অফিসার তাকে প্রাণের হুমকি দেয়। তখনই চারিদিক থেকে সাইরেন বাজার আওয়াজ আসতে লাগল। পুলিশের একটি ফোর্স কিছুটা দূরত্ব থেকে সবকিছু শুনছিল নিজামুলের ব্যাগের ভিতরে থাকা ফোন থেকে। সেই দুজন পুলিশ অফিসারকে হাতেনাতে ধরার জন্য, নিজামুলকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাটি সেখানেই শেষ হয়নি। নিজামুল সেই পুলিশ অফিসারকে আদেশ দিল আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে, হাতকড়া খুলে, সবার সামনে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে। ব্যাপারটা দেখে আমি যদিও প্রথমে আশ্চর্য হই, পরবর্তীতে তার চোখের দিকে তাকানোতে তার মনের প্রকৃত ভাব কিছুটা বুঝতে পেলাম। তার রক্ত চড়া চোখ আর অতিরিক্ত চওড়া মুচকি হাসি দেখে তার মনের বিকৃত গঠন অনেকটা বোঝা যায়। ততক্ষণে সে সেখানে উপস্থিত সকল পুলিশ অফিসারকে বললো আবার একটি দুরত্বে গিয়ে অপেক্ষা করতে। অতঃপর তারা সেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজের পূর্ববর্তী স্থানে ফিরে চলে যায়। তারপর সে নিজের বন্ধকে বলে, "ব্যাগ থেকে হাতুড়িটা বের কর্ আর লাইভ ভিডিও রেকর্ড কর্" এটা শুনে তার বন্ধু ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে তার হাতে দিল এবং মোবাইল ফোনে লাইভ ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করলো। নিজামুল সেই পুলিশ অফিসারকে ঐ টংয়ের বেঞ্চের মধ্যে বসালো। পুলিশ অফিসারটি ভয়ে কাঁপছিল এবং কাঁপতে কাঁপতে বার বার ক্ষমা চাচ্ছিল। তার পায়ের কাঁপুনি এবং নিজামুলের চেহারার ভয়ঙ্কর হাসিটা দেখে এক মুহূর্তের জন্য আমার নিজেরই ভয় করছিল। নিজামুল হাতুড়িটা হাত থেকে রেখে, নিজের পকেট থেকে সার্জিক্যাল গ্লাভস বের করে পড়ল। তারপর হাতুড়িটা আবার হাতে নিয়ে, আমাকে কাছে ডেকে বললো, "সে তোমার গালে থাপ্পড় মেরেছে, তুমি আঘাত পেয়েছ, এবার তুমিও তার গালে ইচ্ছামতো থাপ্পড় মারো। আর হ্যাঁ, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাপ্পড় মারবা, যাতে সবাই অন্যায়ের শাস্তির একটা ধারণা পেতে পারে।" এটা শুনে আমি বললাম, "না, থাক্! সে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে, আমিও ক্ষমা করে দিয়েছি।" আমার এই উক্তি শুনে সে এতো জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগল, যে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে মজার কৌতুক শুনেছেন মহাশয়। এমন বিরাট মাত্রায় হাসতে হাসতে হঠাত্ করে পুলিশ অফিসারের হাতে হাতুড়ি দিয়ে জোড়ে আঘাত করলো। আঘাত করামাত্র পুলিশ অফিসারটি চিত্কার করে উঠল এবং আমি ভয়ে পেছনে চেপে গেলাম। তার প্রথম আঘাতের ফলে পুলিশ অফিসারের হাত ভেঙে গেল, কিন্তু ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়নি। প্রথম আঘাতের পর সে পুলিশ অফিসারকে তার আরেক হাত আগে বাড়াতে বললো। পুলিশ অফিসারটি ভয়ের চোটে ছটফট করে পিছনের দিকে পলায়নের চেষ্টা করছিল। কিন্তু নিজামুল সে অফিসারের আরেক হাত মুহূর্তের মধ্যেই থাপা দিয়ে ধরে নিল এবং তা বেঞ্চের উপর রেখে আবার আঘাত করল। পুলিশ অফিসারটির উভয় হাত থেকে অধিক পরিমাণের রক্তপাত হচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখার পর আমি পুলিশ অফিসারের জন্য আফসোস করছিলাম। আমার চেহারায় তার প্রতি ফোটে উঠা মায়া দেখে নিজামুল আমাকে বললো, "শুনো, যার প্রতি তুমি সহানুভূতি দেখাচ্ছ, তার কারণেই অসংখ্য গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের নির্দোষ সন্তানদের জেলে যেতে হয়েছে, তাদের পরিবারকে লজ্জিত হতে হয়েছে, তাদের নামের মধ্যে 'অপরাধী' নামক দাগ পড়েছে, তাদের কেউও কখনও সিভিল সার্ভিসে যোগদানের স্বপ্ন দেখতে পারবে না, অনেক যুবকের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হবে, অনেকে তো এই অভিশপ্ত ঘটনার জন্য মানসিক রোগী হয়ে বিভিন্ন অনৈতিক পথ অবলম্বন করবে; সেগুলোর জন্য দায়ী শুধু এই মানুষরূপী পশুটি। আজ এই লোকটা তোমার জীবনটাও নষ্ট করতে নিয়েছিল, কিন্তু মহান আল্লাহ্ তা'আলা তোমাকে এর নোংরা হাত থেকে তোমায় বাঁচিয়েছেন। আজ আমি এই মিশনে এসেছিলাম ডিপার্টমেন্টকে একটি শর্ত দিয়ে, যে আমি যদি এই অফিসারকে হাতেনাতে ধরতে পারি, তাহলে তার সঙ্গে যা ইচ্ছা করতে পারব, অর্থাত্ এই ব্যাক্তির জীবনের কি হবে না হবে, সেটা আমিই সিদ্ধান্ত নিব।" উক্তি শুনে পুলিশ অফিসারটি সেই দুটো রক্তাক্ত হাত জোড় করে, তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল। এটা দেখে নিজামুল তার চেহারার দিকে তাকিয়ে একটা বড় করে মুচকি হাসি দিল এবং ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো, "সে সকল দর্শক এখন ভিডিওটি দেখছেন আর যে সকল দর্শক এটা ভবিষ্যতে দেখবেন, তাদের উদ্দেশ্যে অল্প কিছু কথা বলতে চাই। আমি হলাম একজন গোয়েন্দা অফিসার। আমি ঠিক এই লোকটার মতোই একজন আইনের লোক। কিন্তু এখানে সামঞ্জস্য রয়েছে শুধু আমাদের পেশার শ্রেণী ও ধরণ, তাছাড়া অন্য কোনো ব্যাপার নয়। আমি আজ শাস্তি দেয়ার জন্য কিছু আইন বিরোধী পথ অবলম্বন করে থাকলেও, এমনটা করার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। আমি অন্যায় এবং অবিচারকে প্রচুর ঘৃণা করি। আর যখন চোখের সামনে দেখতে পাই, আইনের রক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া কর্মীরা নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। খুবই কষ্ট লাগে আমার কাছে, যখন রক্ষক হয়ে পড়ে ভক্ষক। এই লোকটা শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য এতগলো নির্দোষ যুবকদের উপর আরোপ লাগিয়েছে, গায়ে হাত তুলছে, মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং অসংখ্য জীবন নষ্ট করেছে। আজ তাকে একটা উচিত শাস্তি হিসেবে এই পন্থা বেছে নিয়েছি। এটা আমি প্রকাশ্যে করছি, যাতে দেশের জনগণ উক্ত বিষয়ের মাধ্যমে আরো সচেতন হয়ে উঠতে পারে। আমি সবাই দেখাতে চাই, আইন মরে যায়নি। পৃথিবীতে এখনও আইন মেনে চলার মতো এবং আইনের অবমাননার ফলে শাস্তি দেয়ার মতো মানুষও বেঁচে আছে। তার এই দুই হাত দিয়ে সে অসংখ্য মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, তাই হাতকে আমি ভেঙে ফেলেছি, নাহলে ভবিষ্যতে এই হাত দিয়ে আরো অনেক জীবন নষ্ট করে বেড়াবে।" তার কথাগুলো শুনার পর থেকে আমার জীবনে এক নতুন লক্ষ নির্ধারণ করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম একদিন স্বয়ং একজন পুলিশ অফিসার হয়ে মানুষের কল্যাণ করব। কারণ যে দেশের মধ্যে অনৈতিক পুলিশ অফিসার ভরপুর পরিমাণে রয়েছে, সেই দেশের মধ্যে কিছু সত্ কর্মকর্তাদের প্রয়োজন রয়েছে।
ধন্যবাদ গোয়েন্দা নিজামুলকে,
ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা।
No comments:
Post a Comment