Saturday, August 25, 2018

White Crow

White Crow



শুরু করছি এই গল্প এক বিরল স্বরে,
আশা করি গল্পটা বলতে পারবো মন ভরে।
সময় তো সব বলেই দেয়,
তা জানা সত্বেও সব বলে ফেলছি সময়ের অপেক্ষা না করে।

অতীত নামের কালো চাদর দ্বারা ঢাকা সেই কথাগুলো মুখে নিব কি করে, সেটা মোটেও বুঝতে পারছি না,
অকথ্য ভাষায় রচিত এই কুৎসিত অধ্যায়টুকু ব্যাখ্যা করবো কি করে, তার জন্য ভাষাও খুঁজে পাচ্ছি না।

এককালীন বন্ধনে বন্দি সেই জীবন্ত লাশ আর কতদিন নিজেকে পরিচালিত করতে পারবে? তাহার জীবন তো শুধুই নামের, তাহার নেই কোনো প্রকারের অস্তিত্ব, তাহার নেই বেঁচে থাকার কোনো যৌক্তিকতা। আসলে, সে এমনই মনে করতো।
 কিন্তু হঠাৎ একদিন তার এই অযৌক্তিক জীবনে এসে পড়লো এক নতুন যুক্তি। 
যে আসার পর হতে বেঁচে থাকার জন্য সে জীবনের সঙ্গে করলো এক নতুন চুক্তি।
সে আসার পর হতে তার জীবনটা নিজেই এক নতুন জীবন পেয়ে গেল। সেই নতুন সদস্যটি ছিল তাহার জীবন সঙ্গিনী। নাম ছিল তাহার বৃষ্টি।
পৃথিবীর সেরা উপহার যদি কিছু হয়ে থাকে, তা হলো এক মা এর অতুলনীয় মমতা। কিন্তু তারপরে যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই নিঃশর্ত ভালবাসা।
এই উপহারটি বৃষ্টি নিয়ে এসেছিল তাহার জীবনে। বদলায় সে চায়নি কিছুই। অবাস্তব মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দেখা দৃশ্য। এতো ত্যাগ কীভাবে করে একজন মানুষ? কি আসলেও আছে এমন কেউ? কোথায় ছিল সে এতদিন লুকিয়ে? কোথায় ছিল সে সারাটা জীবন? এই প্রশ্নগুলোই ঘুরছিল তাহার মনে।

একদিন তাকে ডেকে সে বললো, "তুমি আমাকে এতটাই ভালবাস, যতটা আমি নিজেকেও কখনও বাসি নেই। আমার তো মাঝেমধ্যে মনে হয় তোমার কোনো স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে এসবের মধ্যে। তা নাহলে আমার মতো ভাঙ্গা জিনিসকে কেন এতো সহ্য করছো? কেন এতো দয়া করছো আমার মতো এক নিকৃষ্ট লোকের উপর? কেন আমার অর্থহীন জীবনে নিজেকে বন্দি করে রাখতে চাও নিজেকে?"
বৃষ্টি তার একটি কথারও উত্তর না দিয়ে, চুপ করে দাড়িয়ে রইল। সে তা না সহ্য করতে পেরে তার হাতের বাহু ধরে তাকে উচ্চস্বরে বললো, "আমার কথাগুলোর জবাব দিচ্ছ না কেন?? কেন রয়েছ এমন নিরব?? তোমাকে আজ আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতেই হবে!!"
বৃষ্টি এবারও কিছু না বলে, মাথা নীচু করে রয়ে গেল।
সে এটা সহ্য না করতে পেরে, এবার তার হাতের বাহু ধরে টেনে নিয়ে গেল তাদের বাসার দরজার কাছে। সেখানে নিয়ে এসে তাকে বললো, "তুমি যদি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর না দিতে পার, তাহলে আমার সঙ্গে থাকারও তোমার কোনো অধিকার নেই।" এটা বলেই সে মেয়েটিকে ঘর হতে বের করে দিল। সেই মেয়েটি চুপচাপ ঘর হতে বের হয়ে গেল। তার কান্না ছিল অতি নিম্নস্বরে, তবুও তার আওয়াজ শুনে যেকোনো মানুষের মনই ছারখার হয়ে পড়বে।
মেয়েটি চলে গয়েছিল বহু দূরে। এমন এক স্থানে, যাকে বলা হয় 'না ফেরার দেশ'।
যখন লোকটা এই সংবাদ জানতে পেল, সে দৌরে গেল তার মুখ শেষ বারের মতো দেখতে।
সেখানে গিয়েই সে ঐ কারণটা জানতে পারল, যে কারণটা না বলার ফলে সে মেয়েটিকে নিজের জীবন হতে তাড়িয়ে দিয়েছিল। কারণ জানার পরে সে আটকাতে পারলো না তার কান্না।

ছেলেটির পরিচয় আজ পর্যন্ত অজানা, কিন্তু তাহার উক্তিটি সকলেই জানে। তাহার ডাইরি পাওয়া গিয়েছিল এক পুরাণ বাসায়, যেখানে শত শত বছর ধরে কেউ থাকে না। বাসার পাশে একটি কবরস্থান রয়েছে, যেখানে রয়েছে শুধু দুটো কবর। সেই দুটো কবরের মধ্যে একটা কবর এখনও খালি পড়ে রয়েছে। অনেকে বলে কবরটা সেই লোকটার, কিন্তু কেউ দাফন করেনি তাকে। অনেকে বলে লোকটির কোনো আত্মীয়স্বজন ছিল না। অনেকে বলে লোকটির অসংখ্য পরিমাণের ধনসম্পত্তি ছিল।

লোকটির সঙ্গে যা কিছু হয়েছিল, তার অনেকাংশে আমার জীবনের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে পার্থক্য শুধু এতটাই, যে আমি তাহার জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পেরেছি, আর সে শুধু তা লেখেই গেল।

সেই লোকটি তার ডায়েরর এই অধ্যায়ের নাম রেখেছিল, "White Crow" এবং তার শেষ উক্তিটি ছিল, "She was like a crow in my life. She existed as a symbol of pure kindness. She was beautiful and majestic like a white pigeon yet I used to get annoyed by her for being such a help to me. Just like a crow takes care of the environment regardless of all the hate it gets, she took care of me regardless of my disgusting behavior."


No comments:

Post a Comment